শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, যাকে এক সময় তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হতো, যাকে নিয়ে কেউ মাথা ঘামাতো না। সেই বাংলাদেশ আজকে ভূ-রাজনীতিতে অনেক অনেক গুরুত্বপুর্ণ । প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দেশে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। ওনি নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছেন। জাতি হিসেবে আমাদের জন্য বিষয়টি সম্মানের।

বৃহস্পতিবার (১৭ই আগস্ট) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত আমাদের কোন গাফলিতি থাকবে না। অতন্ত্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করবো। সেই সঙ্গে সজাগ থাকতে হবে কোন ষড়যন্ত্র যেনো অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, মাত্র ৪ মাসের মধ্যে একটি সুলিখিত সংবিধান রচনা করে দেশের গণতন্ত্রের মূলভিত্তি রচনা করে গেছেন। বিশ্বের অনেক দেশ সেই সংবিধানকে আদর্শ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

তিনি বলেন, অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলেন, অথচ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রায় লম্বা সময় ধরে, ইতিহাসকে বিকৃত করে রাখা হয়। জাতিকে বিভ্রান্ত করে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পুরণ হয় নি।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন,  ঘটনাটি শুধু হঠকারি সেনা কর্মকর্তাদের কাজ ছিল না, এটা ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে দেশী বিদেশি চক্র জড়িত ছিল।

ওয়াল্ড ইউনির্ভাসিটির ভিসি ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চান বঙ্গবন্ধু ভালো সংগঠক ছিলেন কিন্তু ‍সুশাসক ছিলেন না। আজকের অনুষ্ঠানের বক্তাদের কথায় তাদের সেই অনুমান ভূল প্রমাণিত হয়। বঙ্গবন্ধু যে সুশাসক ছিলেন সে কথা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাঙালী জাতির বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়েছিল।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাৎ সেলিম উদ্দিন, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইনসহ দপ্তর ও কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তার।