নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানি তেল বিপণনে সরকার ও বিপিসি কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এবং ডিলারদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে । এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির একাংশ কমিশন বাড়ানোসহ ৩দফা দাবীতে ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল তোলা এবং পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এতে আগামীকাল তেল না পাওয়ার শঙ্কায় সন্ধ্যা থেকে নগরীর বিভিন্ন পাম্পে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনটির মধ্যে একটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। তবে সমিতির এক অংশ ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেছে। তারা আগামীকাল এবিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে।
জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা; পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট, তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা; ট্যাংকলরি ভাড়ার ওপর ভ্যাট সংযুক্ত নয়, এ বিষয়ে সু-স্পষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রকাশ এবং ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সু-স্পষ্ট প্রজ্ঞাপন করার দাবি তাদের।
প্রজ্ঞাপনের পর পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন এনার্জি বাংলাকে বলেন, কমিশন এজেন্ট ঘোষণা দিয়ে শুধু একটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। প্রধান দাবী কমিশন বৃদ্ধির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। যে কারণে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না ধর্মঘটের বিষয়ে। যোগাযোগ করছি, হয়তো রাতের মধ্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে না। সে কারণে আগামী কালের ধর্মঘট হতে পারে, হয়তো পরশু থেকে প্রত্যাহার হতে পারে।
বর্তমানে ডিজেলে ২, পেট্রোলে ৩ এবং অকটেনে ৪ শতাংশ কমিশন আছে। এই কমিশন ৭.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্ট এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৯শে আগস্ট বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সকল দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে পেট্রোল পাম্প মালিকদের দাবি ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ফলে ঐ সময় পর্যন্ত সকলকে স্বাভাবিক ভাবে তেল পরিবহনের আহ্বান জানানো হয়।