কক্সবাজারে ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

কক্সবাজার ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছেন উদ্যোক্তারা। টানা ৪ মাসের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আইসিসিবিতে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান।

বাংলাদেশে বড় আকারের বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প এটাই প্রথম। পাইলট আকারে ফেনীর সোনাগাজীতে প্রথম ১ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টা চালানো হয় সেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এরপর টেকনিক্যাল কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

মে মাস থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। এখন আমাদের ১০ টাইরবাইনের পরীক্ষামূলক উৎপাদন সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। ১০টি টারবাইনে দিনের গড় হিসেব করলে ১৫ থেকে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। অপর ১২টি টাইরবাইন আগামী ১ মাসের মধ্যে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতি সেকেন্ডে বাতাসে গতি ৩ মিটার হলে টারাবইনগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। আর পুরোমাত্রায় উৎপাদনের জন্য বাতাসের গতি প্রয়োজন পড়বে ৯ মিটার পার সেকেন্ড। আর ওই অঞ্চলে সারাবছরের বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ মিটার (গড়)।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাতাসের গতি অনেক বেড়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই। একটি নির্দিষ্ট গতির উপর গেলে স্বয়ংক্রিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।

চীনের অর্থায়নে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস–ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

দেশে বর্তমানে ২৪ হাজার ৯১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। সর্বোচ্চ ৪৭.১ শতাংশ উৎপাদন হয় প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, এরপরেই রয়েছে ফার্নেস ওয়েল ২৬.৩৮ শতাংশ, কয়লা দিয়ে ১৭.০২ শতাংশ ডিজেলে ১.৯৯ শতাংশ, জল বিদ্যুৎ থেকে .৯৩ শতাংশ বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হয় ৪.৭১ শতাংশ, সোলার থেকে আসছে ১.৮৭ শতাংশ।

বাংলাদেশের বাতাসের গতি বিবেচনায় উপকূলীয় অঞ্চল ও অগভীর সাগর এলাকায় বায়ু বিদ্যুতের জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচনা করা হয়। অনেক বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। গত জুনে সাগরাঞ্চলে ৫০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করে ডেনমার্ক।