আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা হবে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে বিদ্যুতের ভবিষ্যৎ চাহিদা মোকাবিলা করা হবে। পারস্পারিক সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভূটান-এর সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরো জোরদার করে বিদ্যুত্সহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও নেপালের জ্বালানি মন্ত্রী রাধা কুমারী গাওয়ালি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বিদ্যুতের সাবষ্টেশন ও ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নির্মিত সঞ্চালন লাইন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনশেষে নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় তারা সাবষ্টেশনের অবকাঠামো, কারিগরি যোগ্যতা, বিদ্যুত্ গ্রহণ ও প্রেরণ, আঞ্চলিক গ্রীড আন্ত: সংযোগ ইত্যাদি পরিদর্শন করেন। প্রতিমন্ত্রী ও নেপালের মন্ত্রী ছাড়া অন্যদের মধ্যে নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেস্থা, যুগ্ন সচিব কেশর বোস, যুগ্ন পরিচালক ইলেকট্রিসিটি নেরমালা শর্মা, দিপক কুমার রামেদার, বাংলাদেশের বিদ্যুত্ বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) আনোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবিদ্যুৎ নিয়ে নেপালের সাথে চুক্তির ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছেন। ভারত থেকে কিভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসছে ও কি সিস্টেমে এই বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে তা দেখতে এসেছেন নেপালের মন্ত্রী এতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাধা কুমারী গাওয়ালী বলেন, সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট। আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে। নেপালী প্রতিনিধি ভারত থেকে কিভাবে বিদ্যুৎ আসছে এবং তার সঞ্চালন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেছে। ভবিষতে নেপাল-বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্বালানি খাতে আরো এগিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভেড়ামারা সাবষ্টেশন ও সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।