প্রস্তাবিত বাজেট: জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমানোতে সানেমের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাজেটে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমানোর উদ্যোগ প্রকাশ করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, দেশের জ্বালানি খাতকে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছে।  বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এই খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সানেম।

সানেম বলেছে, গত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দে উল্লেখযোগ্য ওঠানামা দেখা গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ; পরবর্তী দুই অর্থবছরে (২০১৯-২০ ও ২০২০-২১) এই খাতে বরাদ্দ যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯১ ও ৩১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমেছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের প্রসার, দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান, মুদ্রার অবমূল্যায়নের প্রভাব ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর নীতি ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তুকির বোঝা নিরসনে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ সায়েমের।

প্রস্তাবিত বাজেটে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে যে  একশ’ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করে সানেম। স্রেডা গত বছরের তুলনায় কম ১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে; গত বছর যা ছিল ১৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যদিও এই বরাদ্দ গত বছরের সংশোধিত বাজেটে মাত্র ৭ কোটি টাকায় নেমে এসেছিল।

বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বেশি থাকা সত্ত্বেও উৎপাদন সক্ষমতা আরও বাড়ানোর তৎপরতা অব্যাহত আছে। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছর এই খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।