রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: ম তামিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা (শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪)

বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে দুর্নীতি দুর করতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ দরকার বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডক্টর ম তামিম। এজন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আর বাস্তবায়ন আলাদা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার এফডিসি মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আর রানারআপ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে বিদেশি বিনিয়োগ সহজ হবে না বলেও মন্তব্য করন ম তামিম।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। সাতটি বিদেশী কোম্পানি দরপত্রের তথ্য কিনলেও কেউ বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা দেয়নি।

 দুর্নীতি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এটা আইন দিয়ে বন্ধ করা সব সময় সম্ভব হয়না। মানসিকতা পরিবর্তন দরকার। তবে পদ্ধতি কঠিন হলে দুর্নীতি কমবে। বাংলাদেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।

ম তামিম বলেন, রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী এই তিন পক্ষের যোগসাজশেই জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময় ছাড়া কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়নি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়ে ম তামিম বলেন, এই অস্বচ্ছতার পিছনে বিগত সরকারের স্বার্থ জড়িত ছিলো। লোকসান দেখিয়ে দেখিয়ে উচ্চমূল্য নির্ধারণের জন্যই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্বচ্ছ রাখা হতো। বর্তমান সরকার এসেও এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করতে পারেনি।

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও বিতরণ, সঞ্চালন ও মিটার কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। যাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ও চাহিদা কতটুকু তার কোনো সঠিক হিসাব নেই। গত সাড়ে ১৫ বছর দরপত্র ছাড়াই বেসরকারিখাতে শতাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত সরকার সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রফিকুল বাসার, সাংবাদিক রিশান নসরুল্লাহ।

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।