পটুয়াখালিতে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা
যৌথ কোম্পানি গঠন করে চীনের সঙ্গে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।এ কোম্পানি পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উত্পাদন ক্ষমতার বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
বাংলাদেশের নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে কোম্পানি গঠন করবে।গত বুধবার দুই কোম্পানির মধ্যে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানশেষে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেস্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, ভারতের সঙ্গে যেমন যৌথ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে সেভাবেই কোম্পানি গঠন করা হবে।কোম্পানির ৫০ ভাগের মালিকানা বাংলাদেশের থাকবে বাকী ৫০ ভাগের মালিকানা থাকবে চীনের।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন তৌফিক-ই-ইলাহী এবং বিদ্যুত্ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলাম, চীনা রাষ্ট্রদূত লী ঝুন, সিএমসি’র চেয়ারম্যান ওয়াং সু সেন।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত্ এবং জ্বালানি চাহিদা মোকাবেলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।আমরা ২০৪১ পর্যন্ত পরিকল্পনা করেছি।ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য পথ তৈরী করে যাচ্ছি।এই পথে এগুলে দেশের ভাল হবে।
ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, গত বিএনপি সরকারের সময় আধা বিলিয়ন ডলারের কোন প্রকল্পের কথাই শোনা যায়নি।এখন বাংলাদেশের একটি কোম্পানি দুই বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োরেগ কথা চিন্তা করছে।বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ শুধু সম্ভাবনার দেশ নয় বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে পারে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আমদানীকৃত কয়লা দিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করা হবে।এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার।তৃতীয় সমুন্দ্রবন্দর পায়রা সংলগ্ন এলাকায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।