জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপান
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খাত এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের অর্থনীতি, ট্রেড ও শিল্প বিষয়ক ভাইস মন্ত্রী নোরিহিকো ইশিগুরো।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
নোরিহিকো ইশগুরোর নেতৃত্বে বাংলাদেশ-জাপান যৌথ সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ প্রতিনিধি দল সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এ সাক্ষাত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় তার সঙ্গে জাপানের একটি উচ্চ পর্যায়ের উদ্যোক্তা দলও আসবে।
তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভবনা খতিয়ে দেখবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোরিহিকো ইশিগুরো জানিয়েছেন ।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের কারণে জাপানি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ইশিগুরো।
বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে জাপানের ভাইস মন্ত্রী নোরিহিকো ইশিগুরো প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১১ এ তিন বছরে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫ গুন।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমো প্রমুখ।
এদিকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে জাপানকে আরো বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য ঠিক করেছি। এ লক্ষ্য পূরণে জাপান বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সুবিধা রয়েছে। জাপানি বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য আমাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।
দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের নির্ভরশীল উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান।