ভোক্তা অধিকার খর্ব করে বিটি বেগুন উত্পাদন করা চলবে না: বাপা

বিটি বেগুন পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্যবান্ধব নয়।এটি উত্পাদনের ফলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য হুমকীর মুখে পড়বে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তাই ভোক্তা অধিকার খর্ব করে বিটি বেগুন উত্পাদন করা চলবে না।

গতকাল বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল লাউঞ্জে‘‘বাংলাদেশে বিটি বেগুন ঃ সম্ভাবনা ও সমস্যা’’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।বাপা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উপ কমিটির আহ্বায়ক কৃষ বিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এম মুয়াজ্জেম হুসাইনের সভাপতিত্বে এবং বাপা’র যুগ্মসম্পাদক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় মুল বক্তব্য রাখেন রসায়নবিদ জাহেদুর রহমান।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিজ্ঞানী ও বি-সেফ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. এ এন এম রেজাউল করিম, নয়া কৃষি আন্দোলনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, উবিনিগ’র গবেষক ড. এম. এ সোবহান, বাপা সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এম কে সুলতান প্রমুখ।

জাহেদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বিটি বেগুন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।এতে মানব দেহে বিভিন্ন ধরণের মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হতে পারে।ভারত ও ফিলিপাইনে এরইমধ্যে এটিকে নিষিদ্ধ করেছে।কিন্তু বাংলাদেশে বিটি বেগুন পরীক্ষামূলক চাষে সরকার অনুমোদন দিয়েছে।তিনি বলেন, বিটি টক্সিন একটি পরীক্ষিত বিষ।এর মাধ্যমে উপকারী পোকা মারা যেতে পারে।বিটি টক্সিন পরাগায়নের মাধ্যমে অন্য ফসলের ক্ষতি হতে পারে।এর গাছ-পাতা খেয়ে অন্যান্য প্রাণী অসুস্থ হতে পারে।তিনি বলেন, বিটি বেগুন টক্সিন পরিবেশ ও স্তন্যপায়ীদের উপর বিরূপ প্রভাব কী তা আন্তর্জাতিক এ্যাকরিডেটেড ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে পরীক্ষা করা দরকার।ভোক্তা অধিকার খর্ব করে বিটি বেগুন উত্পাদন করা চলবে না।রেজাউল করিম বলেন, দেশের মোট সবজির ১৪ ভাগ উত্পাদন হয় শুধুমাত্র বেগুন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের বেগুনের চাহিদা ব্যাপক।কিন্তু বিটি বেগুনের উত্পাদন ও চাষের জন্য জেনে ও বুঝে অনুমোদন দিতে হবে। বিটি বেগুন চাষে কীটনাশক ব্যবহার কমবে বলে যে দাবী করা হয়, তাও সর্বাংশে সত্য নয়।ফরিদা আখতার বলেন, বেগুন রপ্তানি করতে গিয়ে যদি বিটি বেগুনের বিষয়ে আপত্তি উঠে তাহলে বাংলাদেশের রপ্তানি সব পণ্যই হুমকির মুখে পড়বে।