ঘোড়াশাল বিদ্যুেকন্দ্রের ৩য় ইউনিট সংস্কারে ব্যয় ২২০০ কোটি টাকা

ঘোড়াশাল বিদ্যুেকন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট সংস্কারে ব্যয় করা হবে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সংস্কারের পর ২১০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটির উত্পাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ৪১৬ মেগাওয়াট।

গতকাল বিদ্যুত্ ভবনে তৃতীয় ইউনিটটি সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে অ্যালস্টম লিমিটেড ও চীনের চায়না ন্যাশনার মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে চুক্তি সাক্ষর করে। চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবির চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহসহ বিদ্যুত্ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ২৩ অক্টোবর সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই যৌথ কোম্পানির দরপ্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

গ্যাসভিত্তিক এ কেন্দ্রের বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ পড়বে ইউনিট প্রতি ১ দশমিক ৬৯ টাকা। সংস্কারের অর্থ ঠিকাদার কোম্পানি নিজেরাই যোগাড় করবে বলে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল বিদ্যুেকন্দ্রে বর্তমানে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট দিয়ে ৪৮ মেগাওয়াট, ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিট দিয়ে ১২০ মেগাওয়াট, ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিট দিয়ে ১১০ মেগাওয়াট ও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিট দিয়ে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদিত হচ্ছে।অর্থাত্ ৯৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুেকন্দ্র থেকে বর্তমানে উত্পাদন হচ্ছে মাত্র ৪৫৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত্।

এদিকে এ বিদ্যুেকন্দ্রের জমিতেই তিনটি কুইকরেন্টাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র রয়েছে।এগুলো হলো এগ্রিকোর ১০০ ও ৪৫ মেগাওয়াট এবং ম্যাক্স পাওয়ারের ৭৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুেকন্দ্র।