ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রিপুরা থেকে বিদ‌্যুৎ পাওয়ার আশা

ভারতের ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে ভেড়ামারা গ্রিড থেকে বাংলাদেশে যাবে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের বিদ্যুৎসচিবের বৈঠকে এ দুই বিষয় চূড়ান্ত হয়েছে। বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎসচিব মনোয়ার ইসলাম এ খবর জানান।
বর্তমানে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।
মনোয়ার ইসলাম বলেন, পালাটানা থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে কিছু সংশয়ের কথা কোনো কোনো মহলে উঠছিল। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পেয়ে যাবে। পালাটানা থেকে কুমিল্লায় সেই বিদ্যুৎ আসবে। ওই সময়ের মধ্যে গ্রিডের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে ভেড়ামারা গ্রিড থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। বাগেরহাটে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রামপাল প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন উপদেষ্টা গোষ্ঠী নিযুক্ত হয়েছে। তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। পরিবেশের এক ফোঁটা ক্ষতিও যাতে না হয়, সে জন্য এই প্রকল্প অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হবে বলে মনোয়ার ইসলাম জানান।
চলতি মাসের ১৬-১৭ তারিখে দিল্লিতে সার্ক বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সম্মেলন হবে। সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
মনোয়ার ইসলাম বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যের রঙ্গিয়া রাউটিয়া থেকে ৮০০ কেভি সুপার গ্রিড বাংলাদেশের বরপুকুর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুর দিয়ে ঢুকে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে শেষ হবে। এই গ্রিড দিয়ে ক্রমান্বয়ে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। বাংলাদেশ সেই বিদ্যুতের একটা বড় অংশ কিনবে। কতটা, তা আগামী মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের গড় চাহিদা সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট।