দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ
ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ দুর্বল হয়ে গভীর নিুচাপে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে দেয়া সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকালও বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ছত্রিশগড় ও পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যা রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কাছাকাছি অবস্থান করছে। এটি দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সোমবার সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া সর্বশেষ আবহাওয়ার পরিস্থিতি শীর্ষক বুলেটিনে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেয়া সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গতকাল সোমবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা চট্টগ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। সোমবার সকাল থেকে সাগর শান্ত হয়ে আসায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে হুদহুদের প্রভাবে সোমবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তম, বিজয়নগর ও শ্রীকাকুলাম জেলা এবং উড়িশ্যা, ঝাড়খন্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আজও বৃষ্টি হতে পারে।
মানবকণ্ঠের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের দেয়া তথ্য মতে, হুদহুদের কারণে রাজ্যের আড়াই লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে ৭০টির বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধসে গেছে অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিশাখাপত্তমে রেললাইন ও বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনসহ গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে।
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু হুদহুদকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যে ২ হাজার কোটি রূপি ত্রাণ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
গত রোববার সকাল ১১টায় অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় জেলা বিশাখাপত্তমে ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে হুদহুদ।