কারণ এখনও অজানা
স্মরণকালের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ এখনও অজানা। যদিও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এমন যে, কোথা থেকে এই সমস্যার উদ্ভব তা নির্দিষ্ট হয়েই আছে। তবু সে কারণটি স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না।
শনিবার স্মরণকালের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। দুই কমিটিই আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত করছে। সতর্ক থাকা এবং ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, কারা এরজন্য দায়ি সে বিষয়টি তদন্ত হতে পারে। কারণ যদি কারও অবহেলার কারণে এই সমস্যা তৈরী হয় তবে সেই ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করতে সময় লাগবে। তবে কেন এবং কোথায় কি হয়েছে তা পরিস্কার। সমস্যা না জানলে সমাধান সম্ভব হয়নি। সমাধান যখন হয়েছে সমস্যাটাও জানা। কিন্তু এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট করে কিছুই বলছে না। যার কারণে কারণ এখনও অজানা রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিভিন্ন স্থানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু তবুও সে ব্যবস্থা শনিবার কাজ করেনি। গ্রিড লাইন কেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়নি তা এখনও বলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কোন একটি স্থানে সমস্যা দেখা দিলে সেই অঞ্চলেই সেটা সীমাবদ্ধ থাকার কথা। শুধু অাঞ্চলিক গ্রিড বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু শনিবার তা হয়নি।
ভেড়ামারা সাবস্টেশনের প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে তা কেন কাজ করেনি তা এখনও জানা যায়নি। এবিষয়ে তথ্য উদঘাটনের কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, গ্রিড লাইনের কোন বিকল্প থাকে না। তবে একটা পর্যায় পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যবস্থা আছে। ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও যদি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় তবে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা বাংলাদেশে আছে। কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে এ অবস্থা হয়ে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনে সমন্বয় না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। গ্রিড ব্যবস্থার সমস্যার কারণেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হতে পারে। গ্রিডের বৈশিষ্টের কারণে কোন ত্রুটি দেখা দিলে একে একে গ্রিডের সাথে যুক্ত সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক একইভাবে সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এক সঙ্গে চালু করা সম্ভব হয় না। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে পরিস্স্থিতি স্বাভাবিক করতে হয়। কোন একটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে নিকটতম স্থান থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুন্যস্থান পুরণ করে। এভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে দ্র“ত সমস্যা ছড়িয়ে পড়ে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।