সুন্দরবনের মধ্যে জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষ জাতীয় কমিটি  এবং  নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি সুন্দরবনের মধ্যে জাহাজ চলাচলের চ্যানেল বন্ধের দাবি জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সুন্দরবন এলাকায় তেলবাহী জাহাজ ডুবে শুধু নদীর মৎস্য ও জলজ সম্পদ নয় সুন্দরবনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
বুধবার ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, দুর্ঘটনায় সেখানে পরিবেশ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথে নাব্য সংকট সৃষ্টির পর খননের মাধ্যমে সেটিকে সচল না করে বিআইডব্লিউটিএ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়। ২০১১ সালের নভেম্বরে প্রথম সুন্দররবনের ভেতরে নৌপথ চালু হয়। তখন দিনে ২০-২৫টি নৌযান চলাচল করলেও বর্তমানে তা দেড়শততে পৌঁছেছে। শুরু থেকেই সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র রক্ষার স্বার্থে এর বিরোধীতা করে আসলেও বনের ভেতরে নৌ চলাচল বল্পব্দ হয়নি।
সংগঠনগুলোর পক্ষে বিবৃতিদাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির  উপদেষ্টা পংকজ ভট্টাচার্য ও  মনজুরুল আহসান খান, আহ্বায়ক আশীষ কুমার দে, জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, পীস এর মহাসচিব ইফমা হুসেইন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ স¤ক্সাদক মিহির বিশ্বাস, সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, ইনিশিয়েটিভ ফর পিসের (আইএফপি) সভাপতি আরিফুর রহমান ও নদী রক্ষা শপথের সদস্য সচিব জসি সিকদার।

এমটি সাউদার্ন ওটি-৭ নামের ট্যাংকারটি গোপালগঞ্জের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য খুলনার পদ্মা অয়েল ডিপো থেকে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ‘টোটাল’ নামে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সাউদার্ন স্টারের একপাশের খোল ফেটে যায় এবং সেটি ডুবতে শুরু করে। ট্যাংকারটির  প্রায় সব ফার্নেস অয়েল বেরিয়ে মঙ্গলবারই সুন্দরবনের শেলা নদীর অন্তত ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন বন কর্মকর্তারা।