নৌ মন্ত্রণালয় দায়ী: বলছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়

সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটি অনুমতি ছিল না। জ্বালানি তেল বহন উপযোগি ছিল না ট্যাংকার জাহাজটি। একারণেই সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ডুবে যায়।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এতথ্য দিয়েছে। এজন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কেও দায়ী করেছেন কমিটির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণেই ত্র“টিপূর্ণ জাহাজটি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে পেরেছিল।
বিপর্যস্ত সুন্দরবন পর্যবেক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সল্ফে§লনে এ অভিযোগ করেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ।
এরআগে জাতীয় সংসদ ভবনে তার সভাপতিত্বে বৈঠক করে কমিটি। বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্কèা­হ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, টিপু সুলতান, মজিবুর রহমান চৌধুরী এবং মেরিনা রহমান অংশ নেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশিè­ষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দরবনে যে জাহাজটি ডুবে যায় তার কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। কিভাবে একটি ফিটনেসবিহীন জাহাজ তেল নিয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করে তা জানতে চাওয়া হয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে। শুধু তাই নয়, এভাবে বহু ফিটনেসবিহীন জাহাজ প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে তেল নিয়ে চলাচল করে, যা সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কমিটি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করা সমস্ত জাহাজ বন্ধের সুপারিশ করেছে। অতি দ্রুত এ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমিটির সভাপতি বলেন, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর তেল সংগ্রহের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা মুখ্য হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সে ভূমিকা রাখেনি। এজন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় সংসদ সূত্র জানায়, বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে দুর্ঘটনা কবলিত জ্বালানী তেলবাহী জলযানটির কোন প্রকার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে কিনা তা কমিটিকে জানানো এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন অয়েল ট্যাংকার চলাচল বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। তেলবাহী জলযান ডুবির কারণে সুন্দরবন এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশের উপর দীর্ঘ মেয়াদী কিরূপ প্রভাব পড়বে এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট যতদ্রুত সম্ভব দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, সুন্দরবন এলাকার শ্যালা নদীতে দুঘটনা কবলিত জাহাজটি উদ্ধার করে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৮০০ লিটার ফার্নেস অয়েল সংগ্রহ করা হয়েছে। পানির অক্সিজেনের গড় মাত্রা ৬ দশমিক ৮ যা সহনীয়। গ্রীজ ওয়েলের কোন অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি।