বন্ধুচুলা পরিবেশের জন্য উপকারী

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জ্বালানি সাশ্রয়ী ও স্বাস্থ্য উপযোগী বন্ধুচুলা ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।তিনি রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে‘বন্ধু চুলার বাজার উন্নয়ন উদ্যোগ’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ৫ লাখ বন্ধু চুলা স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বন্ধু চুলা পরিবেশের জন্যও উপকারী।বন্ধ ুচুলাকে উন্নয়নের দিক হিসেবে চিহ্নিত করে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ শহরের নারীরা এ চুলা ব্যবহার করে সুবিধা পাচ্ছেন পাশাপাশি এই প্রকল্প সংশি­ষ্টদের কর্মসংস্থানও হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রইছ উল আলম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বন ও পরিবেশ উপ মন্ত্রী আবদুল­াহ আল ইসলাম জ্যাকব, বাংলাদেশে জার্মানীর রাস্ট্রদূত ড. আলব্রেখট কোনসে, প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী সারওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী ও জলবায়ু ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আহসান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও জিআইজেডের উর্ধ্বতন উপদেষ্টা ড.ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান।প্রবন্ধে জানানো হয়, সনাতন পদ্ধতিতে অস্বাস্ব্যকর পরিবেশে রান্না করলে গৃহিনী ও শিশুরা ফুসফুসের নানারোগে আক্রান্ত হচ্ছে।গবেষকদের হিসেবে কেবল ২০১৩ সালেই রান্না ঘরের ধোঁয়াজনিত কারণে বাংলাদেশে হাঁপানী রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ এবং প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু অকালে মৃত্যুবরণ করেছে।এদেশের প্রচলিত চুলায় বছরে প্রায় ১৫০ কোটি মণ জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।যার মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ কাজে লাগে।

জীবন ও জ্বালানি শক্তির অপচয় রোধ করতে ও রান্নাঘরে দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ ১৯৮০’র দশকে উন্নত চুলা উদ্ভাবন করেন।২০০৬ সাল থেকে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড এই চুলা আরো ব্যবহার উপযোগী করে বন্ধু চুলা নামে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নেয়।বন্ধু চুলা প্রোগ্রামকে টেকসই করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ও পরিবেশ অধিদফতরের সহায়তায় জিআইজেড বন্ধুচুলার বাজার উন্নয়ন উদ্যোগ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়।