চেক রিপাবলিক বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী
চেক রিপাবলিক বাংলাদেশে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চেক রিপাবলিকের এ্যাম্বাসেডর মিলসলাভ স্লাসেক এর নেতৃত্বে সেখানের ১৫ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে সচিবালয়ের সভাকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া উভয়ের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা ফসিল ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও মেরামত, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন, বায়ুগ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাড়ানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন এবং এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি উন্নয়ন, নির্মাণ, নির্মাণ কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চেক রিপাবলিকের ভিটকোভাইস পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুডা ডোসান, চেক ট্রেড এজেন্সী, ফ্যানস ও ইন্টার গ্লোব স্টেড প্রাইভেট লি. তাদের কার্যক্রম তুুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী, গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধান, কয়লা খনি, কঠিন শিলা, বিদ্যুৎ উৎপাদন (নবায়নযোগ্যসহ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিনিয়োগের খাত চিহ্নিত করে প্রস্তাব দিতে বলেন। তিনি তাদের প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে বা চেক রিপাবলিকে সেমিনার করার আহ্বান জানান।
এ সময় জ্বালানি বিভাগের সচিব মো. আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ চেক রিপাবলিকের কনসল এ এস এম মহিউদ্দিন মোনেম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সাথে চীনের রাষ্ট্রদূত মামিংকিয়াং সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রি-প্রেইড মিটার, ট্রান্সফরমার নির্মাণসহ বিদ্যুতের উপকরণ তৈরিতে উভয় সরকার যৌথভাবে কোম্পানি গঠন করার কথা বলেন। চীনের উল্পুত প্রযুক্তি বিনিময় করে বাংলাদেশের প্রযুক্তিও উন্নত করা যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রী, কয়লা উত্তোলনে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চীনের কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি বাংলাদেশে পাঠাতে অনুরোধ করেন। পিজিসিবির বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ ও পায়রা বন্দর করতে দুত ঋণ ছাড় করতে রাষ্ট্রদুতের সহযোগিতা চান। সেচের জন্য গভীর নলকূপে সৌর প্যানেল সংযুক্তির বিষয়টিও এ সময় আলোচনায় স্থান পায়।
চীনের রাষ্ট্রদুত বলেন, বাংলাদশের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। যৌথভাবে কোম্পানি করার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ঋণের অর্থ বাংলাদেশের জন্য প্রায় উন্মুক্ত। যথাসময়েই তা দেয়া হবে।