বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে ২১ মে দাবি দিবস

স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধান কাজ বিদেশি কোম্পানিকে না দেয়া এবং বাপেক্সকে শক্তিশালি করার দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এজন্য তারা আগামী ২১ মে দেশব্যাপী দাবি দিবস পালন করবে।
শনিবার পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে ‘সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প ও গ্যাস নিয়ে চুক্তি: সরকারের অপতৎপরতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় কমিটির আহ্ববায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুলল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ, প্রকৌশলী বি ডি রহমতউল্লাহ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের সবচাইতে সম্ভাবনাময় গ্যাস সম্পদ নিয়ে এমন সব তৎপরতা চলছে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ভিত্তি নির্মাণ সংকটপন্ন হয়ে যাচ্ছে। বাপেক্সকে যথাযথ কাজের সুযোগ না দিয়ে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্থল ও সাগরের বিভিন্ন গ্যাস ব্লক। এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ‘স্থলভাগের কোনো গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেয়া হবে না’ এই অঙ্গীকার করলেও সম্প্রতি  পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরেও উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি সংশোধন করা হচ্ছে এমনভাবে যাতে এই গ্যাসের দাম যা দাড়াবে তা আমদানি করা গ্যাসের চাইতে বেশি হবে।
সভায় বক্তারা বলেন বিশেষজ্ঞ মতামত এবং জনমত উপেক্ষা করে সরকার সুন্দরবনধ্বংসী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এনটিপিসির রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও অরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট কারখানা, সাইলো, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ ভূমিগ্রাসের নানা তৎপরতা সুন্দরবনের জন্য একের পর এক বিপদ তৈরি করছে। সুন্দরবন রক্ষা করতে গেলে বাণিজ্যিক সব প্রকল্প ও পরিবহন বন্ধ করতে হবে।