সামিট এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে

সামিট পাওয়ার কোম্পানি লি. নতুন করে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। স্থানীয় পুঁজিবাজার থেকে এই টাকা সংগ্রহ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানির সামিট সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির পরিচালক (অর্থ) আয়েশা আজিজ খান একথা বলেন। এসময় কোম্পানির আইন পরামর্শক ব্যারির কারিশমা জাহান ও সহকারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (টারবাইন) এ এন এম তারিকুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিবিয়ানা-২ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর অর্থায়ন নিশ্চিত হয়েছে। এবিষয়ে আগামী ২ জুন চূড়ান্ত চুক্তি হবে। মে মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল ইউনিট উৎপাদনে এসেছে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জুন মাসে উদ্বোধন করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে আয়েশা আজিজ বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে বিদেশী বিনিয়োগ আসা উচিত। কিন্তু তা প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। বিশেষ সুবিধা দিয়ে নয়। আর যদি বিশেষ কোন সুবিধা দেয়া হয় তা যেন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকেও দেয়া হয়। তিনি আসন্ন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং সে সময় ভারতের দুটি কোম্পানির বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিষয়ে নজর রাখবেন বলে জানান। তিনি বলেন, তাদের বাড়তি কোন সুবিধা দেয়া হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। স্থানীয় এবং বিদেশী কোম্পানিকে সমান সুযোগ দেয়া উচিত। বাংলাদেশে বিদেশী কোন কোম্পানিকে বিনা দরপত্রে কাজ দেয়া ঠিক হবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর আমাদের জন্য সম্মানের। ভারতে অনেক বিষয়ে যেমন বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারেনা, তেমনই বাংলাদেশেও সমস্যা আছে। এসব বিষয়ে সমান সুযোগ প্রয়োজন।
আয়শা আজিজ জানান, বড় একটি প্রকল্পের জন্য অর্থ সংস্থানই সবচেয়ে বড় কাজ। এই কাজ করতে গিয়ে সামিটকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। বিদেশী চেয়ে স্থানীয় ব্যাংকের সুদের হার বেশি। এজন্য বিদেশী ঋণে সুবিধা বেশি। তিনি বলেন, সামিট দেশের সীমানা ছাড়িয়ে শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে।
তিনি বলেন, সামিট এতদিন বিদেশিদের টাকা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এবার দেশীয় টাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। এজন্য প্রয়োজনে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। ভবিষ্যতে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের চিন্তা করছে সামিট।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করতে ২১০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এই ঋণ দিচ্ছে।
বেসরকারি মালিকায় প্রতিষ্ঠিত বড় বিদ্যু‍ৎ কেন্দ্রর একটি বিবিয়ানা-২। বেসরকারি কেন্দ্রর মধ্যে বিবিয়ানার দাম হবে সবচেয়ে কম। তেলের দাম ছাড়া দুই টাকার কম দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
সামিট গ্রুপের দেশের ১১টি স্থানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্র থেকে এক হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।