পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু

বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছে। নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করলে এক স্থান থেকেই সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহষ্পতিবার মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকায় এই সেবার মাধ্যমে ৮০০ নতুন মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করেছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) সংশ্লিষ্ঠরা জানান, এক অবস্থানেই আবেদনকারীর জামানত নেয়া হচ্ছে এবং মিটার লাগানোর কাজ শেষ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বেশি আবেদন জমে থাকা অন্য এলাকায় এই ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। চলতি অর্থ বছর প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহককে নতুন সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে আরইবি।
আরইবি সূত্র জানায়, বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এলাকায় কোন লোডশেডিং নেই। মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বর্তমানে মিটার, সার্ভিস ড্রপ, ট্রান্সফরমারসহ আনুসাঙ্গিক মালামালের কোন ঘাটতি নেই। ৩৩ কেভি, ১১ কেভি ফিডার এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো কোন ওভারলোডিং নেই। গ্রাহক সার্ভিস পর্যায়ক্রমে ভাল হচ্ছে।
আরইবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, দ্রুত সকলের কাছে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে যা যা প্রয়োজন তাই করার চে®দ্বা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের আগেই আশা করি সকলের ঘরে আলো পৌছে দিতে পারব।
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে পদ্ধতিগত লোকসান তিন ভাগ কমেছে। বকেয়া প্রায় পুরোটা আদায় হয়েছে। লোডশেডিংও কমেছে। বিদ্যুৎ বিক্রি ১০ কোটি থেকে বেড়ে ২৫ কোটি টাকা হয়েছে। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ০৫টি থেকে ১১টি করা হয়েছে। ১১ কেভি ফিডার ২৮টি থেকে ৫৫টি করা হয়েছে।
উপকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি ৮৫ থেকে ১৭০ মেগাওয়াট এবং গ্রাহক চাহিদা ৭০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ১১৫ মেগাওয়াট হয়েছে।
চলতি অর্থ বছর অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রায় প্রায় কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয়েছে। সমিতি প্রতি ইউনিটে ৬৪ পয়সা লোকসানে ছিল। বর্তমানে ৩১ পয়সা লাভ হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ৭২টি সমিতির মধ্যে সেরা বিদ্যুৎ বিতরনী ইউনিট হিসাবে নির্বাচিত হয়। এছাড়াও চলতি বছরে বর্ণিত সমিতি আইএসও ৯০০১: ২০০৮ সনদ লাভ করেছে।