টেংরাটিলা-মাগুরছড়া বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ আদায়ে উদ্যোগ নেয়ার দাবি

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘মাগুরছড়া-টেংরাটিলা’ বিস্ফোরণে দায়ি  বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করার দাবি করেছে।
মাগুরছড়া দিবস উপলক্ষে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।
বক্তারা রামপাল, অরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবনের পাশে বিদ্যুৎ প্রকল্প, ভারতের সাথে সম্পাদিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। সমাবেশে বক্তারা দেশের গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান। সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্রাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যপক আনু মুহাম্মাদ, জাতীয় কমিটির সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সাইফুল হক, রাজেকুজ্জামান রতন, জোনায়েদ সাকী, কামরুল আহসান, এ্যাড, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, নাসিরউদ্দিন নসু, ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, বহ্নিশিখা জামালী, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, জাহাঙ্গী আলম ফজলু, শামসুল আলম ও শহীদুল ইসলাম সবুজ।
সমাবেশে শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বিদেশি কোম্পানির অবহেলায় ‘মাগুরছড়া-টেংরাটিলা’ বিস্ফোরণে বিশাল ক্ষতি হলেও তা আদায়ে কোন সরকার উদ্যোগ নেয়নি। উল্টো তাদেরকে নানারকম ছাড়, ভর্তুকি ও সুবিধা দেয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত ক্ষতিপুরণ আদায়ে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, মাগুড়ছড়া-টেংরাটিলায় গ্যাস সম্পদসহ ক্ষতি হিসাবে মার্কিন ও কানাডার কোম্পানির কাছে মোট পাওনা কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এটা জ্বালানি খাতে গত পাঁচ বছরের বাজেট বরাদ্দের চাইতে বেশি। তিনি ভারতের আদানি ও রিলায়েন্স গ্রুপের সাথে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ না দিয়ে দায়মুক্তি আইনের আওতায় বিদ্যুৎ চুক্তির সমালোচনা করে তা বাতিলের দাবি জানান।