ভূটানের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী বাংলাদেশ

দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ভুটানের সঙ্গে যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
ভুটানের অর্থমন্ত্রী লিয়নপো নামগায় দর্জির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এ আগ্রহের কথা জানান।বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভুটানের অর্থমন্ত্রী।এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বা সরাসরি বিদ্যুৎ ক্রয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ওপরও গুরুত্ব দেন। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক ভিত্তিতে ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবিদ্যুৎ ও কানেকটিভিটি সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ও সবধরনের বৈষম্য নির্মূলে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপালের সঙ্গে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রে তার নেওয়া প্রথম উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে মোটরযান চলাচল চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এটি চার দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
ভুটান ও নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান বাংলাদেশিদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-ভুটানের চলমান দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভুটানের অর্থমন্ত্রী নামগায় দর্জি।
ভুটানের উদীয়মান গণতন্ত্রের কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তাদের বাজেট, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিভিন্ন সামাজিক খাত ও অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পলিসি নিয়েছে বলে জানান।
বাংলাদেশের মতো সম্প্রতি ভুটানে ঘোষিত তাদের সবশেষ বাজেট তাদের দেশের সর্বোচ্চ বাজেট বলেও জানান নামগায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুটানের অর্থমন্ত্রী তার দেশের রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভুটান সফরের আমন্ত্রণ জানান।