সেনা ও নৌবাহনী দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে

এবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে সেনা ও নৌবাহিনী। এজন্য তারা আলাদা আলাদা প্রস্তাব দিয়েছে।
বিদু্যৎ কেন্দ্র করতে যে কয়লার প্রয়োজন তা সরবরাহের জন্য সমুদ্র উপকূলে একটি বন্দর করবে নৌবাহিনী। মহেশখালীতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে নৌবাহিনী।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীন সংস্থা নৌ কল্যান ফাউন্ডেশন ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড (এনকেএফটিসিএল), ইন্টারপোর্ট বিডি লিমিটেড (আইপিবিডি) এবং লন স্টার এনার্জি লিমিটেড (এলসিইএল) যৌথভাবে মহেশখালীর দক্ষিণ পশ্চিমাংশে এক হাজার ৭৫০ একর জমিতে এ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, এই কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সম্মত আছেন।
এই কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম হবে ইউনিট প্রতি সাত টাকা ৯০ পয়সা। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই হাজার ২৫০ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে এক হাজার ৮০০ মিলিয়ন কেন্দ্র স্থাপনের খরচ। বাকীটা কয়লার জন্য টার্মিনাল স্থাপনের খরচ। ২৫ বছর মেয়াদি এই কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরের ৬০ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
পিডিবি জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্র কিভাবে স্থাপন করা হবে তা চিঠিতে বলা হলেও কেন্দ্র স্থাপনের অভিজ্ঞতা, যৌথভাবে কাজ করার জন্য চুক্তি এবং অর্থায়নের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র দেয়া হয়নি। এছাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জরিপ করা হবে কিনা তাও জানানো হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীন সংস্থা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিও (বিএমটিএল) চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে।  তারাও এনকেএফটিসিএল এর মতো একই দামে বিদ্যুৎ দিতে চায়। বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন ২০১০ এর অধীনে এ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে।