গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবির মিছিলে পুলিশের বাধা

গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে করা সিপিবি ও বাসদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মন্ত্রনালয় ঘেরাও করার উদ্যেশ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেয়।  একটু পাশেই সচিবালয়ে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়।
বাংলাদেশের  কমিউনিষ্ট  পার্টি (সিপিবি)  ও  বাংলাদেশের  সমাজতান্ত্রিক  দল-বাসদ নেতাকর্মীরা এসময় সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন এবং সমাবেশ করে।
সমাবেশে বলা হয়, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর  আহমেদের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন  বাসদ-এর  সাধারণ  সম্পাদক  খালেকুজ্জামান,  সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন,  সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য  রুহিন  হোসেন  প্রিন্স,  বাসদ-এর  কেন্দ্রীয়  কমিটির  সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন। সমাবেশটি পরিচালনা করেন বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ।
খালেকুজ্জামান  বলেন,  গ্যাস-বিদ্যুতের  মূল্য  বৃদ্ধি  অযৌক্তিক, গণবিরোধী।  সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আরও বাড়বে। বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়া  বাড়বে।  সংসদীয়  কমিটি জনগণের  বিরুদ্ধে অবস্থান  নিয়েছে। বিইআরসি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তাবেদারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।   রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকারের  ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে অতীতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এর দায় জনগণ নেবে না। এখন গ্যাসখাত লাভে চলছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আছে। তেলের দাম সমন্বয় করলে বিদ্যুতের দাম কমে আসবে। তারপরও এই দাম বাড়ানো হয়েছে আইএমএফ ও দেশি-বিদেশি লুটেরাদের খুশী করার জন্য।  বজলুর  রশীদ ফিরোজ বলেন, দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মাত্র চার ভাগ মানুষের বেতন বাড়ে। তার জন্য সব মানুষের পকেট কাটার কোন যুক্তি নেই। রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বিইআরসি আইনভঙ্গ করেছে। ৯০ দিন পরে এই  সিদ্ধান্তের  কোন  আইনি  ভিত্তি  নেই।