প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টাকে ক্যাবের খোলা চিঠি

গ্যাস ও বিদ্যুতের দামহার বৃদ্ধির আদেশ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনে করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আইনের সঙ্গে এ উদ্যোগ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ আদেশ আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত হওয়ায় এ ব্যাপারে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় করণীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিতে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে ক্যাব। ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলমের লেখা ওই খোলা চিঠিতে বলা হয়, ভোক্তাস্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নিয়োজিত পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এতে বিবেচিত হয়নি। ফলে ভোক্তারা সংক্ষুব্ধ। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিদ্যুৎ বিভাগ ও জ্বালানি বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেয়া জরুরি। খোলা চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের চাপের মুখে বিইআরসি কমিশন দামহার বৃদ্ধির প্রস্তাব অতিদ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে গণশুনানি করেছে। দামহার বৃদ্ধি হবে এবং ভূতাপেক্ষভাবে এ বৃদ্ধির আদেশ ১ ফেব্র“য়ারি থেকে কার্যকর হবে- এ তথ্য বিইআরসির প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে শুনানি চলাকালেই অবহিত করে। সংস্থাটির আইনেও বলা আছে, গণশুনানির পর তথ্য-উপাত্ত প্রাপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে ওই সব প্রস্তাবের ওপর কমিশনের আদেশ হওয়া বাধ্যতামূলক। আইনে বেঁধে দেয়া ওই সময়সীমা একেকটি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে একেক সময় শেষ হয়েছে। গত মে মাসেই ওই সব সময় পার হয়েছে। অথচ কমিশনের আদেশ হয়নি। ওই সময়সীমার মধ্যে আদেশ না হওয়ায় কমিশনের আর ওই আদেশ প্রদানের আইনি এখতিয়ার থাকে না। তাই কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় আইনগত বিবেচনায় ওই আদেশকে ভোক্তারা অগ্রহণযোগ্য বলেছেন। অপরদিকে যখনই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তখনই বিদ্যুতের দামও বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তেলের দরপতন অব্যাহত আছে। দর বাড়লে সমন্বয় হয়, কমলে হবে না কেন? এ প্রশ্ন রেখে ক্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ন্যায্যতার প্রশ্নে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। নতুবা ভোক্তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন।