ব্যারেল প্রতি তেল ২০ ডলারে নামতে পারে
অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২০ ডলারে নেমে যেতে পারে। এধারণা করছে বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস।
গোল্ডম্যান স্যাকস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে দাম কমে যাবে। অর্থনৈতিক প্রক্ষেপণের ভিত্তি ছাড়া শুধু বাড়তি উৎপাদন ও সরবরাহের কারণে তেলের দাম এত নিচে নেমে যেতে পারে। বিনিয়োগ সেবা দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে পুর্বাভাসও দেয় গোল্ডম্যান স্যাকস।
গোল্ডম্যান স্যাকসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারনার চেয়ে অনেক বেশি তেল সরবরাহ করা হয়েছে। ২০১৬ সালেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে। ওপেকভুক্ত দেশগুলোর তেল উৎপাদন বাড়ানো ও ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোর চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে তেলের অতিরিক্ত মজুদ আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে। এ কারণে অপরিশোধিত তেলের দর ২০১৬ সালের মে মাসে ব্যারেল প্রতি ৪৫ ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে এ দর ৫৭ ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল। চলতি বছরে তেলের দাম ১৫ শতাংশ কমেছে।
তথ্যানুযায়ী, আমেরিকা গত সপ্তাহে দৈনিক ৯.১৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে। চলতি সপ্তাহে ১.৫ শতাংশ কমিয়ে ৯.২২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করবে বলে জানানো হয়। পরিমাণ কমালেও ১৯৭২ সালের পর থেকে তেল উৎপাদনের এ হার সর্বোচ্চ।
গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, ইরাক ও ইরান তেলের সরবরাহ আরও বাড়াতে পারে। ওপেকভুক্ত দেশগুলো গত ১৫ মাস ধরে কোটা অনুযায়ী প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন তেল উৎপাদন করছে।
প্রসঙ্গত, অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে ওপেকভুক্ত দেশ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ইরান তাদের মার্কেট শেয়ার ধরে রাখতে প্রতিদিন অতিরিক্ত এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদনে করছে।