সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অবহেলার শিকার
বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দারা। জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। সুনামগঞ্জের ১৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রায়ই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। এতে জাতীয়ভাবে অবহেলার শিকার হচ্ছে সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ৯ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় জাতীয় গ্রিড থেকে সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে সুনামগঞ্জকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। একইভাবে ১০ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর এবং ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে কিছুক্ষণ জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে সুনামগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। জাতীয়ভাবে বিদ্যুতের সামান্য সংকট হলেই ঢাকার লোড ডেসপাস সেন্টার থেকে সুনামগঞ্জের লাইন কেটে দেয়া হয়।
এই কারণে সুনামগঞ্জে বিদ্যুতের ভোগান্তি লেগেই আছে। যখন বিদ্যুৎ থাকছে তখন প্রয়োজনের অর্ধেক সরবরাহ করা হচ্ছে। গড়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরবরাহ করা হয় সাত থেকে আট মেগাওয়াট। স্বাভাবিক দিনেও প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ ঘন্টা লোডশেডিং থাকে। এছাড়া সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সমন্বয়ের অভাব আছে। কোথাও বিদ্যুৎ লাইন নষ্ট হলে, দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগের অভাব দীর্ঘদিনের। সব মিলিয়ে চরম বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে আছেন সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই ও শাল্লার প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহক।
সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজালাল মিয়া বলেন, এখানে সমন্বয়ের কোন অভাব নেই। সমস্যা আছে সিস্টেমের। ছাতক-সুনামগঞ্জের বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন পুরানো। সর্বোচ্চ ৭/৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য এই লাইন করা হয়েছিল। এখন দেয়া হচ্ছে ১৩/১৪ মেগাওয়াট। পুরোনো জরাজীর্ণ লাইন অতিরিক্ত লোডের কারণে পুড়ে যায়। এগুলো ঠিক করেই বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোগান্তি কমাতে হলে এখানে গ্রীড স্টেশন করতে হবে অথবা ছাতক-সুনামগঞ্জের ডাবল লাইন করতে হবে বলে তিনি জানান।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন বলেন, নতুন গ্রীড স্টেশন হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু ভোগন্তি লেগেই থাকবে। সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানের কর্মকর্তারা সক্রিয় নয় এটা ঠিক না। ব্যক্তিগত রেষারেষিতে এসব কথা বলা হচ্ছে।