বাংলাদেশকে সস্তায় বিদ্যুৎ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভুটান

ভুটান বাংলাদেশে সস্তায় জলবিদ্যুৎ রফতানি করতে আগ্রহী। দেশটির ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সামর্থ রয়েছে।
ভুটানের সফররত অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লিওনপো নুরবু ওয়াংচুক রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।
ভুটানের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে আমরা সস্তায় বিদ্যুৎ দিতে চাই।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, সফররত মন্ত্রী বলেছেন, ভুটান বর্তমানে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বিশ্বে এখন এটাই বিদ্যুতের সবচেয়ে কম মূল্য।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং ওই দেশের পরবর্তী বিদ্যুৎ প্রকল্পে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভুটান খুবই সম্ভাবনাময় দেশ।
শেখ হাসিনা আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন যে, ভুটানের সম্ভাব্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ এ দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে আসবে।
তিনি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ/জলবিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট খাতেও সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত মোটরযান চুক্তির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি ৪ দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজতর করবে।
স্বাধীন দেশ হিসেবে ভুটানের বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়ার কথা শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশীদের হৃদয়ে দেশটির বিশেষ স্থান রয়েছে।
তিনি সফররত মন্ত্রীর মাধ্যমে ভুটানের রাজা, রাণী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন।
মন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুটানের রাজা, রাণী ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
ওয়াংচুক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভুটানের জনগণের শুভ কামনা রয়েছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অনন্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও দূরদর্শী নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন এবং জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
সফররত মন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বুদ্ধিস্ট ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শন করে সত্যিই অভিভূত হয়েছেন। এসব ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণে সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার প্রশংসা করেন ওয়াংচুক।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ও বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।