সুন্দরবন রক্ষায় লংমার্চের ডাক জাতীয় কমিটির

সুন্দরবন রক্ষায় লংমার্চের ডাক দিয়েছে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আগামী বছর ১০ থেকে ১৫ মার্চ এই লংমার্চ করবে তারা।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কনভেনশন’ এর আয়োজন করে। কনভেনশনে এই লংমার্চের ঘোষনা দেয়া হয়।
কনভেনশেন সাংবাদিক ও কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সুন্দরবনকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করতে চায় সরকার। এই কেন্দ্র করলে সরকারকে জনগণ রাষ্ট্রদ্রোহী বলে চিহ্নিত করবে। এধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে জনগণ এর প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা নেবে। তিনি বলেন, সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সরকার শুধু আত্মঘাতি নয়, রাষ্ট্র ও জাতিঘাতি কাজ করতে যাচ্ছে। এটি পরিবেশ বিরোধী একটি প্রকল্প। সরকার ধীরে সুস্থেই নিতে পারে। কিন্তু না তা করে নিজেদের স্বার্থেই তড়িঘড়ি করে বাস্তবায়ন করতে চায় । তিনি বলেন, মানুষের ক্রসফায়ার ঠেকাতে পারছি না। কিন্তু সুন্দরবনকে ক্রসফায়ার দিতে চাইলে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করছে না। সরকারের কোনো উন্নয়নের বিরোধিতা করা হবে না। তবে যে প্রকল্প গোটা জাতির সর্বনাশ করে তার বিরোধিতা করতে হবে।
জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন নয়, অন্য স্থানে হউক। রামপাল ও ওরিয়নের বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির কাজ স্থগিত করার দাবি জানান তিনি। এই দাবি মানা হলেই প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিনি রামপাল যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর সব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। মিথ্যা প্রচার, ভুল তথ্য এবং সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
কনভেনশনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বিমল বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি মোশরেফা মিশুসহ অন্যরা বক্তব্য  দেন।