রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রর চুক্তি শুক্রবার
শুক্রবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মূল চুক্তি সই হবে। এই চুক্তিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নকশা, যন্ত্রাংশ সরবরাহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি সরবরাহ, যন্ত্রাংশ পরিবহনসহ সব বিষয় অন্তুর্ভুক্ত থাকবে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আকবর জানান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপার্ট এর মধ্যে এই চুক্তি হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিতব্য এ চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থিত থাকবেন।
মূল চুক্তির আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অনুসাক্ষর করা হয়। এরপর বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়।
১২ বিলিয়ন ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা এক লাখ এক হাজার ২০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা দরে) খরচ হবে। রাশিয়ান এ প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে দুইটি অর্থাৎ ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ ইউনিট তৈরি করবে। খরচের ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ১১ বিলিয়ন ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ঋণ হিসেবে দেবে রাশিয়া। আগামী মার্চ বা এপ্রিলে এই ঋণ চুক্তি সই হওয়ার কথা। ঋণ শোধের সময়কাল ২৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। লাইবরের সঙ্গে এক দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হবে। তবে সুদের হার কোন ক্রমেই বছরে চার ভাগের বেশি হতে পারবে না।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদকাল ৫০ বছর। কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২১ সালে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়া। ব্যবহার শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিয়েও যাবে তারা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব যন্ত্র আনা হবে নদীপথে। কেন্দ্রটি পরিচালনা করবে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ’।