আমদানি করা জ্বালানিতে ঝুঁকি আছে

আমদানি করা জ্বালানি দিয়ে চাহিদা পুরণ করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমদানি করা জ্বালানি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই সমস্যা এর দাম শোধ করা এবং আমদানির উৎস নির্ধারণ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ম তামিম একথা বলেন। বাংলাদেশ সিরামিক সোসাইটির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে ‘সিরামিক শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিকল্প জ্বালানি’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন। এরআগে সম্মেলনের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সভাপতি আফতাব উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ভারতের সিরামিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি ড. এ কে চক্রবর্তী, বিসিএসআইআর এর সদস্য মনসুর রেজা চৌধুরী, বিসিএসআইআর এর পরিচালক ড, এ জে এম তহুরুন নিগার, মধুমতি সিরামিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুলতানা নাদিয়া, সোসাইটির সাধারণ স¤ক্সাদক হেদায়েতুল ইসলাম। সেমিনারটি বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ সিরামিক সোসাইটি যৌথভাবে আয়োজন করে।
ম তামিম বলেন, বর্তমান জ্বালানি সংকট মেটাতে আমদানির উপর বেশি নির্ভর করা হচ্ছে। তার বিকল্পও কম। তবে এই আমদানি নির্ভরতা বাড়াতে বাংলাদেশকে সক্ষম করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কতটা সম্ভব তা দেখতে হবে। জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে অর্থ কোথা থেকে আসবে তাও নির্ধারণ করা জরুরী।
ড. এ কে চক্রবর্তী বলেন, যারা যত বেশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে তারা তত আগে উন্নত হয়েছে।  এজন্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে হবে। ২১ শতক হবে ভারত বর্ষেও কর্তৃত করার বছর। এজন্য বাংলাদেশ ও ভারতকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ইজাজ হোসেন বলেন, সবার আগে শিল্পখাতে জ্বালানি সাশ্রয় করা প্রয়োজন। সাশ্রয়ী জ্বালানি দিয়ে কিছুটা হলেও সংকট মোকাবেলা করা যাবে। সাশ্রয়ী হওয়াকে নতুন জ্বালানি হিসেবে দেখতে হবে।
সেলিম মাহমুদ বলেন, দেশে জ্বালানি সংকট আছে। তবে এই সংকট নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার এই সংকট কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন জ্বালানি ব্যবহারে বৈচিত্র আনা হচ্ছে। এজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।