এলপিজি প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ
আবাসিক খাতে গ্যাসের মিটার স্থাপন অনুত্সাহিত করতে তরল জ্বালানি গ্যাসের (এলপিজি) প্ল্যান্ট স্থাপনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একইসঙ্গে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান অব্যাহত রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই তাগিদ ও সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. আবু জাহির, এম. আবদুল লতিফ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জ্বালানী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এলপিজি প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য বলা হয়েছে। আবাসিক খাতের সংযোগে যে পরিমান গ্যাসের অপচয় হয় সেটা রোধ করতেই এই সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে গ্যাসের আবাসিক সংযোগে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরীর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রি-পেইড মিটার স্থাপন নিয়ে নানা মহলের কথা আছে। এগুলো কতটুকু কার্যকর হচ্ছে সেটাও দেখা দরকার। এজন্য আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে গ্যাসের আবাসিক সংযোগে মিটার স্থাপন না করে গ্যাসকে এলপিজিতে রুপান্তর করে ব্যবহার বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাম্মবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তের মহেশখালী নামক স্থানে ন্যাশনাল গ্রিড থেকে ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে জ্বালানী তেল চুরির সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।