বিশেষ আইনে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের প্রতিবাদ

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সোমবার এক বিবৃতিতে সমুদ্রের গ্যাস ব্লক বিশেষ আইনে ইজারা দেয়ার খবরে প্রতিবাদ জনিয়েছেন। তারা এই উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিতে এই উদ্যোগকে দুর্নীতিযুক্ত ও স্বেচ্ছাচারি বলে অবহিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিনা টেন্ডারে ‘পারস্পারিক বোঝাপড়া’র ভিত্তিতে সমুদ্রের তেল-গ্যাস ব্লক ইজারা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজে ২০১০ সালে প্রণীত ‘দায়মুক্তি আইন’ ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের কোনও কাজের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় না। এই আইন দিয়ে ইতিমধ্যে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখন অবিশ্বাস্য অনিয়ম ও দুর্নীতির দিকে যাচ্ছে সরকার। যুক্তি দেয়া হচ্ছে এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। বস্তুত জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত না রেখে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবার চেষ্টার কারণেই সমুদ্র সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানে এই দেরি হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় সংস্থার মালিকানায়, প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতার ঘাটতি থাকলে সাবকন্ট্রাক্টর নিয়োগের মাধ্যমে, তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করার দাবি জানানো হয়। বলা হয়, এভাবে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর কর্মসূচি নিলে দেশের শতভাগ সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের শক্তিশালী ভিত নির্মাণ সম্ভব হতো। সরকার সে পথে যাবার কোন চে®দ্বা না করে নানারকম ভুল নীতি ও দুর্নীতির পথে গেছে। পিএসসি মডেল বারবার সংশোধন করে এখন যেভাবে দাঁড় করানো হয়েছে তা বড় আকারের দুর্নীতি। এই  মডেলে চুক্তি হওয়া মানে বাংলাদেশের ঘাড়ে আর্থিক বোঝা তৈরি করে দেশের বিশাল সম্পদ থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা। এতে যে দামে গ্যাস কেনা হবে তা আমদানি করা গ্যাসের দামের সমান হবে। উপরন্তু পাইপলাইনের ব্যয়, কোম্পানির কর সবই বহন করবে বাংলাদেশ।
কনোকো ফিলিপস-এর সাথে চুক্তির বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেসময় সরকার এই তাড়াহুড়ার অজুহাত দিয়েই জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি করেছিলো। কনোকো ফিলিপস তাদের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে লাভবান হয়েছে, কোনো কাজের কাজ করেনি। এতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে।