মোবারকপুরে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন অনুমোদন
মোবারকপুর তেল বা গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কাজের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব তারিকুল ইসলাম, আইএমইডি সচিব সহিদ উল্লা খন্দকার এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা।
মোবারকপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করতে খরচ ধরা হয়েছে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মোবারকপুরের গ্যাস উত্তোলনের জন্য ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পে একটি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ঐ সময় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে ২০০৬ সালের ৬ জুন একনেক বৈঠকে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার ‘মোবারকপুর অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প’ নামে অনুমোদন দেয়া হয়। কূপ খননের আগে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে ভূ-তাত্ত্বিক দ্বি-মাত্রিক জরিপের ফল ভাল হলেই অনুসন্ধান করার অনুমতি পাওয়া যাবে। পরে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে ১৬০ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার লাইন জরিপ করা হয় এবং ডিসেম্বর মাসে এর ফলাফল প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। দ্বিমাত্রিক জরিপের তথ্য-উপাত্ত থেকে বাপেক্স সেখানে গ্যাসের কাঠামো নিশ্চিত করে। কিন্তু পরবর্তীকালে এই প্রকল্পটির কাজের কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। এরপর ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্থায়নে ঐ প্রকল্পটি আবার অনুমোদন দেয়া হয়। পরে বাপেক্স কারিগরি কারণ দেখিয়ে মোবারকপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সাঁথিয়া উপজেলার পাগলাদহ, চণ্ডিপুর ও বিষ্ণুবাড়ীয়া মৌজায় প্রায় নয় একর জমি ২০১০ সালে দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়ে নতুন করে সেখানে প্রকল্পটি স্থানান্তর করে। অবকাঠামো নির্মাণের পর প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও খনন যন্ত্র(রিগ) না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এ কূপ খনন শুরু করা যায়নি। এরপর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রিগ বসানোর কাজ শুরু হয় এবং মে মাসে শেষ হয়।
বৈঠকে মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে দুই হাজার ৮৬৫ কোটি চার লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে এক হাজার ৫৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ৩২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।