দাবী বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত সিএনজি ষ্টেশনে ধর্মঘট করা হবে
আগামী ৮ জুন থেকে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ষ্টেশনে অনিদির্ষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে সিএনজি ষ্টেশন মালিকরা। ৭ জুনের মধ্যে সরকার তাদের দাবি না মানলে পরের দিন থেকে ধর্মঘট পালন করবে তারা। কমিশন বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন শুরু না করা পর্যন্ত এ ধর্মঘট করা হবে
শনিবার বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন তাদের বিজয় নগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় এসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন, সহসভাপতি ইরাদ আলী, সদস্য মাসুদ খান, জোবায়ের আহমেদসহ সারাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিএনজি ষ্টেশন মালিকরা প্রতি একক গ্যাস বিক্রি করে সরকারের কাছ থেকে ১২ পয়সা করে কমিশন পান। এই কমিশন বাড়িয়ে দুই টাকা ৯৮ পয়সা করার দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিএনজি’র দামও সমন্বয় করতে হবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর বিল প্রথা চালু করে জমানত তুলে দিতে হবে। যন্ত্র আনা হয়েছে কিন্তু সংযোগ পায়নি এমন ৫৪টি ষ্টেশনে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে এবং সকল সিএনজি ষ্টেশনে ইভিসি মিটার লাগাতে হবে।
জাকির হোসেন নয়ন বলেন, সরকার বার বারই আশ্বাস দেয়। আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করি। এবার শুধু আশ্বাসে কাজ হবে না। আমাদের দাবি বাস্তবায়নের কাজ শুরু না করার আগে পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কমিশন বাড়িয়ে দেবে। দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও সে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি কমিশন বাড়ানো হয়নি। সিএনজি ষ্টেশন মালিকদের দাবি যৌক্তিক কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কমিশন বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তারপরও কমিশন বাড়ানোর দাবি মানা হচ্ছে না।
সিএনজি মালিকরা বলছেন, গত চার বছরে ষ্টেশন মালিকদের কমিশন বাড়ানো হয়নি। অথচ সিএনজির দাম ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৬৭ শতাংশ। ব্যাংক সুদের হার বেড়েছে, ষ্টেশন পরিচালনা খরচ বেড়েছে। একই সঙ্গে গ্যাস রেশনিং করা হচ্ছে। যখন ষ্টেশন খোলা থাকছে তখন বিদ্যুত্ না থাকার কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব নানা কারণে ষ্টেশন পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন এটা লোকসানী খাত হয়ে গেছে।