কমানো হলো ফার্নেস তেলের দাম
অবশেষে ফার্নেস তেলের দাম কমানো হলো। লিটার প্রতি ১৮ টাকা কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে। ১লা প্রপ্রিল থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
বৃহষ্পতিবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের জ্বালানি বিভাগ থেকে ফার্নেসের দাম কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক বিপনন মীর আলী রেজা এনার্জি বাংলাকে বলেন, শুধু ফার্নেসের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। অন্য জ্বালানির দাম কমানোর বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই দাম কমানোর পরেও ফার্নেসে লিটার প্রতি লাভ হবে প্রায় ১০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কিনে এনে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয় লিটার প্রতি ৬০ টাকায়। আর খরচ পড়ে গড়ে ৩২টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলে এই লাভ অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, ডিজেল, অকটেন, পেট্রোলের দাম কামনোর জন্যও আলোচনা চলছে। তবে ডিজেলের দাম কমানো হলেও তা ফার্নেসের তুলনায় অনেক কম কমানো হবে।
প্রতিবছর গড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল আমদানি করা হয়। দাম কমানোর ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বর্তমান লাভ কমে যাবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক কমে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশে তেলের দাম কমানো হলো। তাও শুধু ফার্নেসের। অন্য কোন জ্বালানির দাম কমানো হয়নি।
ফার্নেসের দাম কমানোর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমবে। কারণ বাংলাদেশে ফার্নেসের বড় অংশই ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। অল্প কিছু কারথানাতেও ফার্নেস ব্যবহার হয়। বছরে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস আমদানি করা হয়।
ফার্নেসের দাম কমানো বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমলে গ্রাহক সরাসরি সুবিধা পাবে। কিন্তু অন্য জ্বালানির দাম কমানো হলে সাধারণ মানুষ কোন সুবিধা পাবে না। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তর আলোকে দাম কমানো হয়েছে।