ইকুয়েডরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৭৭
শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে ইকুয়েডর। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সেখানে কমপক্ষে ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে ইকুয়েডরের উপকূলীয় এলাকায় ও প্রতিবেশী দেশ পেরুতে। এসব এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে সরকার। জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে কমপক্ষে ৬টি প্রদেশে। ভূমিকম্পের ফলে দেশটির বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাজধানী কুইটো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তবে পরে কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুত সংযোগ চালু করা হয়েছে। মানতা শহরে একটি বিমানবন্দরের টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে দেশের বড় একটি সেতু। পূর্ব সতর্কতা হিসেবে একটি বৃহৎ তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নাগরিকদের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে জরুরি সেবা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে। উল্লেখ্য, ইকুয়েডরের স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিক¤েপর উৎপত্তি হয়েছে ভূ-অভ্যন্তরে ২০ কিলোমিটার গভীরে। এতে উৎপত্তিস্থলের কাছে ও সবচেয়ে বড় শহর গ্যায়াকিলে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী কোয়েটো সহ কয়েক শত মাইল পর্যন্ত অঞ্চলে এবং অন্য শহরগুলোতেও লোকজনের প্রতি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে পোরতোভিজো শহরে ১৬ জন, মানতা শহরে ১০ জন এবং গ্যায়াস প্রদেশে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জি গ্লাস টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছি। দেশটির ভূ-তত্ত্ব ইন্সটিটিউট এক সংবাদ বুলেটিনে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বলে বর্ণনা করেছে। তাদের মতে উৎপত্তিস্থলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এবং গ্যায়াকিল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন শপিং সেন্টারের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা সেন্টার বলেছে, ভূমিকম্পে ইকুডরের কিছু উপকুলীয় এলাকায় এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত জলোছ¡াস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।