রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধে ‘দাবি দিবস’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ও বাঁশখালী হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আগামী ২৯ মে দাবি দিবস পালন করবে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসুচির ঘোষণা দেয়া হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। অন্যদের মধ্যে রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাইফুল হক, বজলুর রশীদ ফিরোজ, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, শামসুজ্জোহা, আজিজুর রহমান, শাহ আলম, বহ্নি শিখা জামালী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় কমিটি ১৫ মের মধ্যে রামপাল-ওরিয়নসহ সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং এসব প্রকল্পর কাজের গতি আরও বেড়েছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন নীতিমালা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। সুন্দরবন বিকাশে মানুষের হস্তক্ষেপ দরকার নাই, দরকার নাই বিশ্বব্যাংক ইউএসএআইডির প্রকল্প, দরকার সুন্দরবনকে মানুষের লোভী আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। অন্যদিকে বাঁশখালীতে নিয়ম ভঙ্গ করে প্রতারণা ও জবরদস্তির মাধ্যমে একটি কযলাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবার চেষ্টা থেকেই এলাকায় অস্থিরতা শুরু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমীক্ষা করা হয়নি। সমীক্ষা ছাড়া এমন প্রকল্প কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শান্তিপূর্ণ পথে বিষয়টি সমাধান করার আহবান জানায় জাতীয় কমিটি।
তারা কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। বলেন, বাশঁখালি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, জোর জুলুম গ্রেফতার নির্যাতন মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিবেশ সমীক্ষা করতে হবে এবং জনসম্মতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ রাখতেহবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে যেসব কর্মসুচি ঘোষণা করা হয় তাহলো- ২০ মে থেকে ৩০ জুলাই সুন্দরবনের আশেপাশেল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে জনসংযোগ, সভা, সমাবেশ। আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সব অনুষ্ঠানে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবনধ্বংসী সব তৎপরতা বন্ধের দাবি সামনে আনা এবং আগামী ১৪ জুন মাগুড়ছড়া দিবস পালন।