গ্রামে ২৫ লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ: ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) মাধ্যমে আরও ২৫ লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। এজন্য বিতরণ লাইন করতে এক হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এই অর্থ বরাদ্দ দেয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ এবং ২৫ লাখ নতুন সংযোগ দিতে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটিতে এআইআইবি ব্যাংক ঋণ দেবে।
তিনি জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ২২৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপকূলবর্তী এলাকায় সাইক্লোন রিকভরীতে নেয়া প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন। ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় আর না বাড়িয়ে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলেছেন।
একনেকে ছয় প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে এক হাজার ৫৯০ কোটি নয় লাখ টাকা।
একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো-পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ইমার্জেন্সী ২০০৭ সাইক্লোন রিকভরী এন্ড রেষ্টোরেশন প্রকল্প (ইসিআরআরপি,বাপাউবোর অংশ), এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ইমার্জেন্সী ২০০৭ সাইক্লোন রিকভরী এন্ড রেষ্টোরেশন প্রকল্প (ইসিআরআরপি,ডি১ ডিডিএম), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের তিস্তা ব্যারেজ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও রংপুর সদর উপজেলায় তিস্তা নদীর ডান তীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের বিসিএস ইকোনমি একাডেমি প্রতিষ্ঠা প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।