টেকসই জ্বালানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
জ্বালানি আমদানির অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি সম্পদের উন্নয়ন ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, পাওয়ার সিস্টেমের গুণগত মান উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং টেকসই জ্বালানির জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
শনিবার ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্টিয়ারিং কমিটির অনুষ্ঠিত সভা এ সিদ্ধান্ত নেযা হয়। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান- ২০১০ পর্যালোচনা করে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাইকার সহযোগিতায় এ মাস্টার প্ল্যান প্রণীত হচ্ছে।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এটা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোলার নেটওয়ার্ক ও গবেষণার বিষয়টি এখানে আরও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তা বাস্তবায়নে এ পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। গ্যাসের জন্যও একটি মাস্টার প্ল্যান থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আগামী দিনের চাহিদা বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা অনুসারে এগোতে হবে। উন্নত দেশের মানুষ কী পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করে, জ্বালানি মিক্স এর প্যাটার্ন কী রকম, জ্বালানির উৎস ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় পরিকল্পনায় থাকা প্রয়োজন।
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ তে, ২০৪১ সালে ৫০০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে জনপ্রতি ১৫০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। প্রযুক্তির উৎকৃষ্টতা ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেনতা এ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে বলে ভাবা হচ্ছে। প্রতিবছর কয়লা ৬০ মিলিয়ন টন ও তেল ৩০ মিলিয়ন টন এবং প্রতিদিন ৪০০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির বিষয় যা উল্লেখ করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম ভূমি ব্যবহার করে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর এ মাস্টার প্ল্যানে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. আবুল আলাম আজাদ , বার্কের চেয়ারম্যান এ আর খান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নাজিমউদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য দেন।