রামপাল নিয়ে হইচই কেন, ক্ষতি হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হলে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিতাম না।
বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি রূপপুর পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রতেও কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে অনেক হইচই। কী কারণে এটা নিয়ে হইচই হচ্ছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। পরিবেশ নষ্টের কথা যারা বলছেন তাদের জানাতে চাই, অক্সফোর্ড থেকে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের শহরের পাশেই এই ধরণের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আেছ। এখানে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা মোটেও নেই। বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেখানে হচ্ছে সেখান থেকে সুন্দরবনের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, কোন উদ্দেশ্যে পরিবেশ নষ্টের কথা বলা হয় সেটাই আমার কাছে প্রশ্ন। এটা যদি সত্যি পরিবেশ বা সুন্দরবন নষ্টের এতটুকু আশঙ্কা থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই এটা আমরা করতাম না। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ নষ্ট হবে না সেদিকে লক্ষ্ রেখেই করা হচ্ছে। আর এর যে বর্জ্য হবে সেই ছাই সিমেন্ট নির্মাণ কারখানায় চলে যাবে।
পরমানু বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা একটু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে। এই উদ্বেগ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে তাকে এতটুকু নিশ্চিত করতে চাই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন অনেক আধুনিক। এখন আর চেরনবিলের ঘটনার মতো ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে। পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এদেশে সম্ভব নয় বলেই রাশিয়াকে তা ফেরত নিতে রাজি করানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেই। এই নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। অনেক লেখালেখি, কথা হয়। টক শোতে টেলিভিশন ভেঙে ফেলার উপক্রম হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা ১৪ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। এখন ৭৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে পারবো।