বিমান থেকে নেওয়া বজ্র-বিদ্যুৎ-ঝড়ের ভয়ঙ্কর ছবি!
প্রকৃতির এক অপরূপ খেলা। যা ভয়ঙ্কর কিন্তু, তার সেই সৌন্দর্য এতটাই যে মাটি থেকে ৩৭ হাজার ফুট উপরে তোলা এক ছবি এখন বিশ্ব জুড়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। বিমানের ককপিট থেকে নেওয়া মেঘের কোলে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়ের ছবি ভয়ঙ্করও যে সুন্দর হয় তা তো শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শ্রীকান্ত ও ইন্দ্রনাথের অভিযানেই বর্ণনা করেছেন।
ঘুটঘুটে আমবস্যার রাতে শ্রীকান্তকে সঙ্গী করে ইন্দ্রনাথ যখন গঙ্গার বক্ষে ডিঙি ভাসাত, তখন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য বর্ণনায় শরৎচন্দ্র এনেছিলেন ভয়ঙ্কর গঙ্গায় রাতের অন্ধকারের এক অসামান্য রূপের বর্ণনা।
ইকুয়েডরের এয়ারলাইন্সের পাইলট সান্তিয়াগো বোরজা বিমানের ককপিট থেকে এমনই এক ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের ছবি তুলেছেন যে তা শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্ত ও ইন্দ্রনাথের গঙ্গাবক্ষে অভিযানকে খেয়াল করিয়ে দেবে। সান্তিয়াগো মেঘের কোলে যে ছবিটি তার ক্যামেরায় বন্দি করেছেন, তা হল বজ্র-বিদ্যুৎ সহ এক ঝড়ের।
প্রশান্ত মহাসাগরের ৩৭ হাজার ফুট উপর দিয়ে বিমান নিয়ে যাওয়ার সময়ে পানামার আকাশের মেঘ রাজ্যে এই বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়ের দেখা পেয়েছিলেন সান্তিয়াগো। বিমান ককপিট থেকে সেই ছবি তোলা খুব একটা সোজা ছিল না। ঝড়ের সেই কেন্দ্র থেকে সমানে ঠিকরে আসছিল নানা আলো। কিন্তু, তার মধ্যে ধৈর্য ধরে এক অসামান্য ছবি তার ক্যামেরায় বন্দী করেন সান্তিয়াগো। বিমানটি তখন ওই ঝড়ের খুব কাছ দিয়েই যাচ্ছিল। সান্তিয়াগোর ভাষায়, ‘বজ্র-বিদ্যুৎ ও ঝড়ের এমন রূপও যে হতে পারে তা আগে কোনও দিনই কল্পনাতে ছিল না’।
ইয়ুকুয়েডর এয়ারলাইন্সের পাইলটের তোলা এই ছবি এখন প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব। আর সেইসঙ্গে তারা বিশ্বজুড়ে যারা এই ছবিটি দেখেছেন তারা এখন অনুধাবন করছেন মেঘের রাজ্যে কেমন হতে পারে অশান্ত প্রকৃতির রূপ। সত্যিই ভয়ঙ্কর কিন্তু অসামান্য সুন্দর।