মহেশখালীর বিদ্যুৎ অঞ্চলে কয়লা টার্মিনাল করার প্রস্তাব
বাংলাদেশের উপকূলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি উন্নয়ন, কয়লা টার্মিনাল ও কয়লা পরিবহনের চ্যানেল করতে চায় চীন। বিনাপ্রতিযোগিতায় এই কাজ চায় তারা। এজন্য নিজস্ব উদ্যোগেই অর্থায়ন জোগাড় করে দেবে।
সম্প্রতি চায়না ন্যাশনাল কমপ্লিট ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএনসিইসি) বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছে।
মহেশখালীতে ‘বিদ্যুতাঞ্চল’ করতে যাচ্ছে সরকার। এই বিদ্যুতাঞ্চলে যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে সেজন্য প্রচুর পরিমাণ জমি এবং কয়লার প্রয়োজন হবে। এই কয়লা ব্যবস্থাপনা ও জমি উন্নয়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।
বিদ্যুৎ বিভাগে দেয়া প্রস্তাবে মহেশখালীতে বিদ্যুতাঞ্চল করতে প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি উন্নয়ন করার কথা বলা হয়েছে। কয়লা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কয়লার টার্মিনাল এবং টার্মিনাল থেকে কয়লা নিয়ে কয়লা মজুদখানায় রাখার জন্য একটি চ্যানেল করবে। পাশাপাশি পাশাপাশি কয়লা মজুদখানায় তৈরিরও প্রস্তাব দিয়েছে সিএনসিইসি।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, মহেশখালীর বিদ্যুতাঞ্চলে পাঁচ থেকে ছয়টি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ছয় হাজার মেগাওয়াট।
উপকূলীয় এলাকায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমদানি করা কয়লা দিয়েই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত মহেশখালী জমি উন্নয়ন ও কয়লা টার্মিনাল করার বিষয়ে কোনো দরপত্র আহ্বান কর হয়নি। কোনো কোম্পানিকে অনুরোধপত্রও পাঠানো হয় নি।
এদিকে তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও স্থাপন করবে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) মহেশখালীতে সমীক্ষাও শূরু করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের সমীক্ষা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে পিডিবি।