কমছে জ্বালানি তেলের দাম

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম আর একটু কমালে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার জ্বালানি তেলের দাম কমলে সাধারণ মানুষ উপকার পাবে। সব কিছুর দাম কমে যাবে।বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করা হবে। পরিবহন ভাড়াও কমবে। তিনি বলেন, তেল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির খুবই মৌলিক বিষয়। সাম্প্রতিক যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে জ্বালানি। তেলের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিদ্যুতের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

আইএমএফ এর সাথে তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগে সোমবার অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে ফিসকাল কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে আর্থিক ব্যবস্থাপনার চলমান পথে টিকে থেকে কীভাবে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, এর আগে জ্বালানি তেলের যে দাম কমানো হয়েছে তাতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি।
দাম কতটা কমানো হতে পারে সে বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিপিসি’র বর্তমানে কোন লোকসান নেই বলে তিনি জানান। বলেন, তেল বিক্রিতে কোনো লোকসান নেই। লোকসানে থাকা প্রায় সব অর্থ উঠে এসেছে। এমনকি সরকার যে টাকা পাওনা ছিল, সেটাও পাওয়া গেছে।

গত ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম চার শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়। তার আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকা করা হয়।