সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে ১০ দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি বাতিলের দাবিতে সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তি সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের বিশ্ব প্রতিবাদ দিবসের কর্মসূচি হিসেবে এই সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। একই সঙ্গে ১০টি দেশে এই দিবস পালিত হয়েছে।
সমাবেশে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড ও কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশি ও পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে একযোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সর্বপ্রাণ শক্তির পক্ষে বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে শিল্পী কফিল আহমেদের নেতৃত্বে সংগীত পরিবেশন করা হয়।
জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস করতে ভারতকে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে দেয়া হচ্ছে। বাঁশখালীতে চীনকে, রূপপুরে রাশিয়াকে ও বঙ্গোপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রকে এলএনজি টার্মিনাল করতে দেয়া হচ্ছে। দেশের প্রাণ-প্রকৃতি ও জীবন ধ্বংস করে কিছু বিদেশি মুনাফাখোরের হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, চারদিকে শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন শুনতে পাই, কিন্তু কান পাতলে সুন্দরবনের কান্না শুনতে পাই। সুন্দরবনের এই কান্না থামাতে দেশবাসীকে আরও সংগঠিতভাবে আন্দোলনে নামতে হবে।
দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনে জানানো হয়েছে, একই দাবিতে শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মেলবোর্নে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসীরা মেলবোর্নের প্রাণকেন্দ্র ফেডারেশন স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বক্তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিরোধিতা করেন। জাতীয় কমিটির যুক্তরাজ্য শাখা পূর্ব লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সংহতি সমাবেশ করেন। এতে বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও মানবতাবাদী সংগঠন ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিশেষ করে ছাত্ররা অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে রামপালে প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল প্রকল্প বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।