ধলেশ্বরীসহ আশপাশের নদীর দূষণ বন্ধের দাবি
চামড়া প্রক্রিয়াজাতকারী ট্যানারীর বর্জ্যে দূষণের শিকার হচ্ছে ধলেশ্বরী নদী। কর্তৃপক্ষ ও ট্যানারী মালিকদের গাফিলতিই এজন্য দায়ি। যথাযথ ব্যবস্থা না করেই দায়সারাভাবে ট্যানারি স্থানান্তরের কারণেই এই দূষণ হচ্ছে।
অবিলম্বে ধলেশ্বরীসহ আশপাশের নদীর পরিবেশ দূষণ বন্ধের দাবি জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার। সোমবার এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচাতে ট্যানারী শিল্পকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেয়ার জন্য পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। তাদের দারির প্রেক্ষিতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু যেখানে স্থানান্তর করা হচ্ছে সেখানেও যদি ট্যানারীর দূষণে অন্য একটি নদীর মৃত্যু হয়, তবে সেটি খুবই হতাশাজনক। গত কয়েকমাসের মধ্যেই চামড়া প্রক্রিয়াজাতকারী ট্যানারীর বর্জ্যে দূষণের শিকার হচ্ছে ধলেশ্বরী নদী। কর্তৃপক্ষ ও ট্যানারী মালিকাই এজন্য দায়ি।
তারা জানান, স্থানান্তর প্রক্রিয়াটি যাতে অপরিকল্পিতভাবে না হয়ে, বিজ্ঞানসম্মত হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যে ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো রয়েছে তা সমাধান এবং কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে। টানারী বর্জ্যে ‘বুড়িগঙ্গা যে ভাবে দুষিত হয়েছে, এটি যেন সাভারের নদীতে না ঘটে, সেই বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। ‘ট্যানারীর বর্জ্যে এবার আক্রান্ত ধলেশ্বরী’ পত্রিকায় এ ধরণের খবর প্রকাশের পর তারা এই বিবৃতি দিয়েছে।