রপ্তানির সুযোগ রেখে সাগরের ১২ নম্বর ব্লকে আজ পিএসসি হবে
রপ্তানির সুযোগ রেখে গভীর সাগরের ১২ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) হচ্ছে।
আজ পেট্রোসেন্টারে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি পোসকো দাইয়ু কর্পোরেশনের সাথে পেট্রোবাংলার এই চুক্তি হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনে (বিশেষ বিধান) প্রতিযোগিতা ছাড়া দাইয়ুকে এই কাজ দেয়া হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ি, এই ব্লকে কোনো গ্যাস পাওয়া গেলে দাইয়ু তার অংশ পেট্রোবাংলার কাছে প্রতি হাজার ঘনফুট সাড়ে ছয় ডলারে বিক্রি করবে। তবে এক্ষেত্রে সেই গ্যাসের উপর ধার্য কর পেট্রোবাংলা দেবে।
১২ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে পেট্রোবাংলা। এতে কনোকোফিলিস ও স্টেট ওয়েল যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দেয়। কিন্তু পরে কনোকো এই ব্লকে কাজ না করার কথা সরকারকে জানায়। এজন্য এই ব্লকে প্রায় দুই বছর কোন কাজ হয়নি।
চুক্তির প্রাথমিক মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। দাইয়ু প্রথম দুই বছরে এক হাজার ৮০০ লাইন কিলোমিটার দ্বি মাত্রিক জরিপ করবে। তৃতীয় বছরে এক হাজার বর্গকিলোমিটার তৃ-মাত্রিক জরিপ করবে। চতুর্থ ও পঞ্চম বছরে একটা অনুসন্ধান কূপ খনন করবে।
গত বছর ৯ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী দাইয়ুর সঙ্গে চুক্তি করার অনুমোদন দেয়। এরপর গত ৭ই ডিসেম্বর অনুস্বাক্ষর করা হয়। জ্বালানি বিভাগের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা শেষে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন নেয়া হয়। পরে এখন চুক্তি করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, আগামী বছরের শেষ নাগাদ দাইয়ু দ্বিমাত্রিক জরিপের কাজ শুরু করবে। এর পরের বছর ২০১৮ সালের মধ্যে জরিপের ফল পাওয়া যাবে।
বঙ্গোপসাগরের অগভীর সমুদ্রের ১৬ নম্বর ব্লকে (মাগনামা) সান্তোস, ১১নং ব্লকে সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি এবং ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে ভারতীয় দুই কোম্পানি ওএনজিসি ভিদেশ লিমিটেড (ওভিএল) ও অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (ওআইএল) তেল গ্যাস অনুসন্ধান করছে।