জনস্বাস্থ্য রক্ষায় শব্দদূষণ আইন বাস্তবায়নের দাবি
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার শব্দদূষণের মাত্রা ৮৬ ডেসিবল থেকে ১১০ ডেসিবল পর্যন্ত। কোনো কোনো স্থানে ১১০ ডেসিবলের চেয়েও বেশি। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করার কারণে বেড়েই চলেছে এই মাত্রা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ৪০-৫০ ডেসিবলের মধ্যে। শব্দদূষণ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শব্দদূষণ ক্রমান্বয়ে মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে, কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করো এই নীরব ঘাতক’ শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), গ্রিন ভয়েস, সুন্দর জীবন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, নাগরিক উদ্যোগ, ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম, পিস ও সিডাসের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাপার বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধ কর্মসূচির সদস্য সচিব এম সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, গ্রিন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানাসহ অন্যরা।
আবদুল মতিন বলেন, প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে শব্দদূষণ। শব্দদূষণ মানুষের দেহে সরাসরি ক্ষতি সাধন করার ফলে মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। শব্দদূষণের ভয়ঙ্কর অবস্থার ফলে ঢাকা শহরের জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করলেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন নেই। আইন বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে রেডিও এবং টেলিভিশনে শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোসহ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।
সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় বিঘœ সৃষ্টিসহ মানুষের শ্রবণশক্তি কমে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃদযন্ত্রের কম্পন বেড়ে যায়, হজমক্রিয়া ব্যাহত হয়, মাংসপেশিতে খিঁচুনি হয়, শিশুদের বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত হয় এবং গর্ভবতী নারীদের মৃত সন্তান জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।