আইএইএ’র কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী

ড. মো. শৌকত আকবর



রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবরকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) তাদের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিতে নিয়োগ দিয়েছে। সংস্থাটির পরমাণু বিদ্যুৎ অবকাঠামো বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপে আগামি চার বছরের (২০২০-২৩) জন্য কাজ করবেন ড. শৌকত আকবর।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ডেপুটি ডিরেক্টর (পরমাণু শক্তি) মিখাইল চুদাকভ, ১৮ই সেপ্টেম্বর এনিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।
আইএইএ’র বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ড. শৌকত আকবরের নিয়োগ অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়।
মিখাইল আশা করেন, পরমাণু বিদ্যুৎ অবকাঠামো বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপে ড. শৌকত বিশেষ অবদান রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরাই ওইসব কমিটিতে সদস্য হয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
পরমাণু শক্তি সংস্থা’র ওই কমিটি, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পরমাণু বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণে দিকনির্দেশনা প্রস্তুত করে থাকে। আর কমিটির সদস্যরা এনিয়ে সংস্থাটিকে পরামর্শ ও নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করে থাকেন। আইএইএ’র নীতিমালা বা নির্দেশনা অনুযায়ীই সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ভূ-খণ্ডে জাতীয় পারমাণবিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। সাধারণত বছরে একবার সদস্যরা বৈঠকে বসে, আইএইএ’র নীতিমালা পর্যালোচনা কিংবা নতুন কোন নীতি সংযোজন বা বিয়োজন করে।
জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে নিয়োগ পাওয়ার পর ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, এটি একধরনের বিশেষ সম্মান। বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে খুব ভালোভাবে অগ্রসর হচ্ছে বলেই বৈশ্বিক সংস্থায় এরকম স্থানে আমাদের জায়গা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স এবং মাস্টার্স করে ড. মো. শৌকত আকবর যোগ দেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। শুরু থেকেই কমিশনের পরমাণু শক্তি বিভাগে কাজ করেছেন তিনি। এই বিভাগের পরিচালক থাকা অবস্থায় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যৎ কেন্দ্রে। বর্তমানে প্রকল্প পরিচালক ছাড়াও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি অব বাংলাদেশের (এনপিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ড. শৌকত আকবর সময় কাটিয়েছেন জাপানে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং সম্মেলনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আগামি নভেম্বরে এই গ্রুপের একটি বৈঠক হওয়ার কথা।