আবার পেছালো নাইকো মামলা: লন্ডনে শুনানী হয়নি

বিষ্ফোরণের পর টেংরাটিলা ক্ষেত্রর চারপাশে এভাবে গ্যাস উদ্বগিরণ হচ্ছে

নাইকোর সাথে মামলার  মিমাংসা সহসা হচ্ছে না। নতুন করে পেছালো এর শুনানী। এতে আরও ঝুলে গেল মামলাটি। গত সপ্তাহে লন্ডনে মামলার শুনানী ছিল। বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা শুনানীতে অংশ নিতে লন্ডনে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও শুনানী হয়নি।
আন্তর্জাতিক সালিশ আদালত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেষ্টমেন্ট ডিসপুটেড (ইকসিড) লন্ডনে শুনানীর এই দিন ধার্য করেছিল।
এরআগে ইকসিড  কানাডিয়ান কো¤ক্সানি নাইকো বাংলাদেশের কোন সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না বলে একটি রায় দেয়। সরাসরি বা পরো কোনভাবেই তাদের কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ সম্পত্তি হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। হস্তান্তর করতে হলে সরকার ও পেট্রোবাংলা উভয়েরই অনুমোদন নিতে হবে।
ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রর পাওনা টাকা আদায়ে নাইকোর করা মামলার রায় দিতে এরআগে সময় বাড়িয়েছিল ইকসিড । ১৫ নভেম্বর এই মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় রায় না দিয়ে আদালত বাড়তি সময় নেয়। বেশি পর্যবেক্ষণের জন্য সে সময় বাড়তি সময় নেয়া হয়েছিল। সেই পর্যবেণের শুনানীও আবার পেছালো।
২০১০ সালের মে মাসে নাইকো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইকসিড-এ দুটি মামলা করে। একটি টেংরাটিলার বিষ্ফোরণের ক্ষতিপুরণ অন্যটি ফেনী ক্ষেত্রর গ্যাসের টাকা আটকে না রেখে তা পাওয়ার জন্য। ২০১৩ সালের ১৯ আগষ্ট দুই মামলার মধ্যে টেংরাটিলার বিষয়ে স্থানীয় আদালতের রায়ই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়ে দেয় ইকসিড। ফেনী গ্যাস ক্ষেত্রর বিষয়টি নিয়ে দুই পরে মধ্যে সমঝোতা করার পরামর্শ দেয় ইকসিড। কিন্তু উভয়ের মধ্যে কোন সমঝোতা হয়নি।
১৯৫৯ সালে আবিষ্কৃত হয় টেংরাটিলা গ্যাস ক্ষেত্র। এক্ষেত্র উন্নয়নে ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ চুক্তি করে নাইকো। সেখানে কূপ খননকালে ২০০৫ সালের ৭ই জানুয়ারি প্রথম দফা ও একই বছরের ২৪ জুন দ্বিতীয় দফা বিষ্ফোরণ ঘটে। তাদের গাফিলতির কারণে সে সময় বিষ্ফোরণ হয়েছিল বলে একাধিক কমিটি সে সময় জানায়। চুক্তি অনুযায়ি ক্ষতিপুরণ দিতে বাধ্য নাইকো। কিন্তু তারা তা দিতে সম্মত হয়নি। আর এজন্যই নাইকোর কাছে ক্ষতিপূরণ মামলা করে বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় আদালতে ৭৪৬ কোটি টাকা বা ৩৫ দশমিক ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ চেয়ে নাইকোর বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার। আদালত ক্ষতিপুরণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত নাইকোর পাওনা গ্যাসের দাম না দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশ দেয় ও নাইকোর সব ধরনের ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।

রফিকুল বাসার
শ্বন্ধ:৩২৪